ফ্রাঙ্কফুর্টে বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা শুরু, বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হয়েছে ৭৩ তম ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলা। করোনা মহামারীর কারনে এবারের বই মেলা পূর্বের তুলনায় অনেকটাই সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলার ৭৩ তম আয়োজনে ৮০ টি দেশ থেকে দুই হাজার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারনে গত বছর (২০২০) সালে ৭২ তম বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল শুধু মাত্র ভার্চুয়ালি। সে বছর কবি, সাহিত্যিক আর প্রকাশকদের সর্ববৃহৎ এই মিলন মেলা বসার সুযোগ হয়নি। তাই এবার বই মেলার শ্লোগান “রি কানেক্ট - ওয়েলকাম ব্যাক টু ফ্রাঙ্কফুর্ট”। ২০ অক্টোবর শুরু হয়ে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবারের বই মেলা।
২০১৫ সাল থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ৭৩ তম ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। মেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসূর, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির মিডিয়া সেল প্রধান নাসরিন আক্তার লিপি সহ অনেকে।
ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতীর পিতার জীবন ও কর্ম বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে সরকার ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলাকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখছে। তাই মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীর পিতার উপর রচিত চার শতাধিক বই এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলা উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মান পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলারস অ্যাসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান কারিন শ্মিট-ফ্রিডরিখস বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব মানে বই থেকে দূরে থাকা নয়। মহামারীর সময় লোকেরা বাড়িতে সময়টি প্রায়শই পড়ার জন্য ব্যবহার করত।
১৯৭৬ সাল থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট বই মেলায় একটি দেশকে অতিথি দেশ হিসেবে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এবারের বই মেলায় অতিথি দেশ কানাডা।