জার্মানিতে নতুন সরকারের যাত্রা শুরু, চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ

নির্বাচনের ৭২ দিন পর অবশেষে জার্মানিতে গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। জার্মানির নবম চ্যান্সেলর হিসেবে আজ দায়িত্ব গ্রহন করেছেন সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের ওলাফ শোলজ। অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের ১৬ বছরের শাসনের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শক্তিশালী এবং বৃহত্তর অর্থনীতির দেশেটির শাসনের ভার বর্তাল এবার তাঁর ওপর।
নতুন সরকার জার্মানির আধুনিকীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য লড়াই করার উচ্চ আশা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এছাড়াও একটি আধুনিক অভিবাসন নীতি, দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন পাশ, নূন্যতম মজুরী ১২ ইউরো করা সহ বেশ কিছু পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই সরকার। তবে করোনভাইরাস মহামারি বর্তমানে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলেই বিবেচিত হবে।
আজ বুধবার সকালে জার্মান পার্লামেন্ট (বুন্ডেস্টাগ) এর সদস্যরা ভোট দিয়ে নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শোলজকে নির্বাচিত করেন। জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। পরে সদ্য বিদায়ি চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজকে অনুষ্ঠানিকভাবে চ্যান্সেলর অফিস হস্তান্তর করেন। এছাড়াও আজ ১৬ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। নতুন মন্ত্রিসভায় ৭ জন সামাজিক গণতান্ত্রিক দল (এসপিডি) থেকে, পরিবেশবাদী সবুজ দল থেকে ৫ জন এবং লিবারেল গণতান্ত্রিক দল (এফডিপি) থেকে ৪ জন সদস্য স্থান পেয়েছেন।
উলেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু কোন দল একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোটবদ্ধ সরকার গঠন করতে হয়েছে। জার্মানিতে জোট বেঁধে সরকার গঠনের দীর্ঘ রেওয়াজ রইলেও এই প্রথম সামাজিক গণতান্ত্রিক দল, পরিবেশবাদী সবুজ দল এবং লিবারেল গণতান্ত্রিক দল একসঙ্গে জোট বেঁধেছে। জার্মানিতে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন রঙের প্রতীক রয়েছে। জোটবদ্ধ এই তিন দলের প্রতীক হলো লাল, সবুজ ও হলুদ। তাই এই জোটকে ‘ট্রাফিক লাইট’ জোট বলে অভিহিত করা হয়েছে।