বিরোধীদলীয় নেতাদের মিথ্যাচারে কঠিন জবাব ইতালীর প্রধানমন্ত্রীর
(MES) ইংরেজিতে যাকে বলা হয় European Stability Mechanism বাংলায় ইউরোপীয় আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি করা হয়েছে যখন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশ আর্থিক সংকটে পরবে অথবা দেউলিয়া হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে তখন সে দেশ এই ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করার জন্য আবেদন করতে পারে ।অতীতে গ্রীসের অর্থনৈতিক মন্দার সময় এই ফান্ডের অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছিল ।
গত বৃহস্পতিবার (ইউরো গ্রূপ) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সকল অর্থমন্ত্রীদের একটি বৈঠক অনুষ্টিত হয়ে সেখানে কোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্তাপন ও আলোচনা করা হয়। কিন্তু ইতালীর বিরোধী দলীয় দুই শন্তিশালী আলোচিত ও সমালোচিত নেতা সালভিনি ও মেলোনি তাদের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ঢালাও ভাবে প্রচার আসছেন যে ইতালী ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে MES প্রক্রিয়া প্রয়োগের জন্য আবেদন করেছে।
এতে ইতালীর রাজনীতি পারায় নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দেয় এছাড়াও সাধারণ ইতালিয়ান নাগরিকদের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ধসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। গতকাল ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কনতে জাতীর উদ্দেশ্যে এক ভাষণে সালভিনি ও মেলোনির নাম ধরে বলেন যে তারা এই সংকটময় সময়েও মিথ্যাচার করে সাধারণ জনগণকে বিব্রত করছে।
তারা যা বলে বেড়াচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।তিনি আরো বলেন তার সরকার এই করোনাভাইরাস কারণে অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে MES পক্রিয়া প্রয়োগে অনুচ্ছিক এবং ইতালির অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো সে অবস্থায় আসেনি।সেইসাথে তিনি আরো যোগ করেন এই সংকট থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উত্তোলনের জন্য পুরোনো পন্থা বাদ দিয়ে আবার নতুন করে ভাবতে হবে সবাইকে ।আর তার সরকার সে জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউরোপের মধ্যে ইতালী সবার আগে কোরোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সেই সাথে এই ভাইরাসে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি।এই নিয়ে তৃতীয় দফায় জরুরী অবস্থার সময় বৃদ্ধি করে আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে দেশটির পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে ,নতুন করে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে।