নাজমুল হোসেন : উৎসব এবং  আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রায় হাজারের বেশি প্রবাসীদের অংশগ্রহণে এই প্রথম ইতালির তরিনো শহরে সম্পন্ন হয়েছে পিঠা উৎসব ও বৈশাখী অনুষ্ঠান। বৈশাখী সাজে বাহারি পোশাকে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। তরিনো বাংলাদেশী প্রবাসীদের আয়োজনে পিঠা উৎসবের অনুষ্ঠানে ঢাকা ,মাদারীপুর ,শরীয়তপুর ,কুমিল্লা ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ,সিলেট ,নোয়াখালী ও মহিলা সমিতি স্টল  নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকটি স্টলে নিজ নিজ অঞ্চলের নানান রকমের বাহারি স্বাধের বিভিন্ন প্রকারের মজাদার পিঠা নিয়ে নারীরা পসরা সাজিয়ে বসেন। প্রবাসের মাঠিতে এমন সুন্দর আয়োজন স্থানীয় বাংলাদেশী সহ বিদেশিদের নিকট বেশ নজর কেড়েছে। অনুষ্ঠানে অনেক আগ্রহ নিয়ে বিদেশিদের উপস্তিতি ও দেখা যায়। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পিঠা উৎসবের আহ্বায়ক লুৎফুর সরকার। এই সময় তরিনো বাংলাদেশী বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে আয়োজকরা প্রত্যেকটি জেলার স্টল পর্যবেক্ষণ করেন এবং অংশ গ্রহণকারী সকলকে পিঠা উৎসবে উপস্থিত হওয়ায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

অনুষ্ঠানে তরিনোর  কমিউনিটির বিশেষ ব্যক্তিবর্গের মধ্য উপস্থিত ছিলেন  এম ডি মিলন,  এবিএম আসাদ উল্লাহ ,নুরনবী মাষ্টার,কামরুল হাসান,শাহজাহান মনির, খোকন সরকার,আবু বক্কর, মাসুম খান,ফজল হাওলাদার, বাদল হাওলাদার,লুৎফর চকিদার,জাগরন বরুয়া, খালেদ মনসুর লিটন ও রায়হান।  

পিঠা উৎসবে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন লুৎফর সরকার,আবদুস সালাম,মোক্তার খান ,রিপন চকিদার,মিন্টু খন্দকার,সোহেল মোল্লা, মামুন,আবদুল জলিল,বেলাল উদ্দিন,মারুফ মনজু,মোস্তফা জামাল,আলেক চান মোল্লা,মোয়াজেম ঢালী,আলামিন ছোয়াল,মহি উদ্দিন,আবু মোছা চৌধুরী,লিটন সরকার,খোরশেদ আলম মজুমদার,মিজান মিয়া,শামিমুল হুদা,জাকির হোসেন,সুমন মিয়া। 

অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন আবু মুসা চৌধুরী ,এমদাদুল হক আনিস ,শিবলু চৌধুরী,ইভা আক্তার লাকি ,রুমা বেগম। 

পরিশেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে পিঠা উৎসবের সমাপ্তি গঠে।