দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও নার্সের সংকট
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স :: ১৯৯৯ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবল সংকটের কারণে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। ২০২৩ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও তা এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ডাক্তারের পদগুলোও শূন্য রয়েছে। নামেমাত্র ৫০ শয্যার হাসপাতালটি কার্যত এখনো ৩১ শয্যার হাসপাতালই রয়েগেছে। জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন, এর মধ্যে ভর্তি হন ২০-২৫ জন। চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মচারীও সংকট রয়েছে।
বাবুর্চি পদে দীর্ঘদিন কেউ নেই। সুইপারের ৫টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। মিড ওয়াইফ ৭ জনের মধ্যে আছেন ৪জন, অফিস সহায়ক ৭ জনের মধ্যে একজনও নেই। এছাড়া এক্সরে মেশিন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে টেকনোলজিস নেই, নার্স ২৫ জনের মধ্যে মাত্র ১৫ জন কর্মরত আছেন। মেডিকেল টেকনোলজিস ডেন্টাল নেই। আল্টাসোনোগ্রাফ মেশিন থাকলেও পরিচালনার জন্য কোন ডাক্তার নেই। সম্প্রতি আরএমওসহ একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের ৪ জন ডাক্তার বদলি হওয়ার ফলে কার্যত ডাক্তার শূন্য হয়ে পড়েছে ওই হাসপাতালে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ হোসাইন বলেছেন, দুর্গম উপজেলা হিসেবে দোয়ারাবাজারে জনবল সংকট প্রকট। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত না নিলে আমাদের কি করার আছে।