যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালগুলোতে করোনা মৃত্যুর রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড রোগীর সংখ্যা দুইই নতুন রেকর্ড গড়েছে।
মহামারী শুরুর পর থেকে বুধবার একদিনে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড ২, ৭৬০ জনের। মহামারীর প্রথম ধাপে গত ১৫ এপ্রিলে যা ছিল ২, ৭৫২।
অন্যদিকে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যাও এদিন ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে রোগীর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ; নভেম্বরের শুরুর দিকের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি।
মানুষের ভাইরাস আক্রান্ত, মৃত্যুর এই মিছিল খুব শিগগিরই কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ থেকে আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বোস্টনের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.জেরেমি ফস্ট বলেছেন,“আপনি যদি বলেন এ সপ্তাহে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বেড়েছে; আমি বলব, সামনে আরও কয়েক সপ্তাহে মৃত্যু আরও বাড়বে।”
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারীর প্রথমদিককার পরিস্থিতির চেয়ে এখনকার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। এপ্রিলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং মৃত্যু কেবল নিউ ইয়র্ক এবং নিউ ইংল্যান্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ গোটা দেশজুড়েই করোনাভাইরাসে মৃত্যু ঘটছে।
এপ্রিলে মহামারীতে মৃত্যু সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার পর লকডাউন আরোপ করায় এবং মার্কিনিরাও সচেতনভাবে তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করায় মৃত্যু কমে এসেছিল।
এখন আবার বুধবার মৃত্যুর যে রেকর্ড দেখা গেছে, তাতে এ সংখ্যা কেবল আরও বাড়বে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, এরই মধ্যে মানুষজন থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র ছুটি কাটিয়ে ঘরে ফিরছে।
এমন সময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার তীব্র রূপ নেওয়ার আশঙ্কা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি।
তার ওপর সামনে আছে বড়দিন এবং নতুন বছর উদযাপনের উৎসব। এসব উৎসবেও কোভিড-১৯ এর বিস্তার আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।