করোনাভাইরাস: লিসবন সিটি কাউন্সিল সান্তা মারিয়া মাইওরের পক্ষ থেকে সতর্কতামুলক প্রচারাভিযান
লিসবন সিটি কাউন্সিল সান্তা মারিয়া মাইওরের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ ২২ এপ্রিল বিকেল তিনটায় লিসবনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা রুয়া দো বেনফরমসো সড়কটি প্রদক্ষিন করা হয়। এই প্রদক্ষিন কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন, সিটি কাউন্সিল সান্তা মারিয়া মাইওরের প্রেসিডেন্ট জনাব ডঃ মিগেল কয়েলু, বাংলাদেশ এমব্যাসির মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব রুহুল আলম সিদ্দিক, জুন্তার কাউন্সিলর ও ইসলামিক সেন্টারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রানা তাসলিম উদ্দিন এবং ইমাম মাওলানা আবু সাইদ।
জুন্তার প্রেসিডেন্ট পর্তুগিজ ভাষায় এলাকাবাসীদেরকে কভিড ১৯ এর সতর্কতা ও কি কি করনীয় তাঁর বিষদ ব্যাখ্যা করেন। বাংলাদেশ এমব্যাসির মান্যবর রাষ্ট্রদূত বাংলা ভাষায় এই ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে আলাপ করেন ও বাংলায় লিফলেট বিতরন করেন। পর্তুগালের জাতীয় SIC টেলিভিশন সহ অন্যান্য টিভি ও বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশী সময় টিভি, এনটিভি, যমুনা টিভি ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সাংবাদিকগণও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সিটি কাউন্সিল সান্তা মারিয়া মাইওরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রশাসনিক পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেনফরমসো রোডে ১১ জন বাংলাদেশী ব্যাক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এছাড়াও সান্তা আপলোনিয়াতে ৫ জন ও অন্যান্য জায়গায় আরও ৫ জন আক্রান্ত হয়ে মোট ২১ জন এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন বেশী উদ্বিগ্ন। আর এই জন্যই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্থানীয় কাউন্সিল এই উদ্যেগ গ্রহন করেন।
বেনফরমসসোর কিছু কিছু দোকানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট মিগেল অভিযোগ করে বলেন, “এই সব দোকান গুলো সরকারী আইন ও কভিড ১৯ এর আইন অমান্য করছে, আমরা তাদের সাধারন ক্ষমা করে চোখ বন্ধ করে আছি। তিনি আরও বলেন, মুদি দোকান খোলার অনুমতি আছে অথচ যাদের মুদি দোকান নয় অথচ তারাও খুলে বসে আছে। এটা আইনের পরিপন্থী!” SIC টিভি সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের এই এলাকায় বাসস্থানের বেশ অভাব, তাই এক এক বাসায় ৫/৭ জন করে মানুষ বসবাস করে। বর্তমান এই সংকটময় সময়ে আপনাদের মাধ্যমে আমার আবেদন, “এখানকার মানুষদের কভিড ১৯ কালিন সময়ে কিছু সময়ের জন্য অন্য কোথাও আবাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর এই এলাকায় একটি কভিড ১৯ স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা যেতে পারে যেখানে আমাদের বাংলাদেশীরা বাংলায় তাদের শারীরিক সমস্যার কথা মন খুলে বলতে পারে।“