স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপিত।

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্যাপন করেছে
মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, গত ১৭ এপ্রিল শনিবার উদ্যাপিত দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম ছিল আলোচনা সভা। সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় দূতাবাসের সভাকক্ষে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের বাণী পাঠ, এর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনা ও মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে এবং ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। মুজিবনগর সরকার গঠনের ফলে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের নৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা করতে শুরু করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত হয়।
তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নবাগত রাষ্ট্রদূত স্পেন প্রবাসী সকল বাংলাদেশীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা নিরবিচ্ছিন্নভাবে দেশে প্রেরণ করে চলমান করোনা অতিমারির অভিঘাত থেকে অর্থনীতিকে সচল রাখার আহবান জানান । তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্পেন প্রবাসী সকলকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়। স্পেন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবর্গের অংশগ্রহণে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।