গোলাপগঞ্জের প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর প্রতিবাদ
গোলাপগঞ্জে হোমকোরান্টেইন নির্দেশনা না মানায় তিন প্রবাসী পরিবারকে জরিমান শিরোনামে গত ২১ মার্চ এনটিভি ইউরোপে প্রচারি “প্রতিদিনের সিলেট’’ সংবাদে প্রচারিত ও এনটিভি অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও গোলাপগঞ্জ পৌরশহরের বাসিন্দা রিপন খান। রিপন খানের মা মারা যাওয়ায় গত ১৮ মার্চ পরিবারের ১১ সদস্য সহ তিনি দেশে আসেন।
সোমবার দুপুরে এনটিভি গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করে রিপন খান জানান, সংবাদে তাদের কোন বক্তব্য না নিয়ে একতরফাভাবে তাদের প্রবাসী পরিবারকে আইন অমান্যকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি জানান দেশে আসার পর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে হোম কোরেন্টাইনে থাকার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা দেননি। গোলাপগঞ্জ থানা থেকে দুই দিন পুলিশ গিয়ে তাদের সাথে শুধু দেখা করে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে চলে আসেন। কোরান্টেইনে থাকার বিষয়ে কোন নির্দেশনা পুলিশও জানায়নি।
এমতাবস্থায় তাদের মায়ের মৃত্যুার খবর ও তারা দেশে আসার কথা শুনে অনেকে তাদের দাড়ীপাতনের বাসায় চলে আসেন। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত আসলে তাৎক্ষনিকভাবে জানানো হয় যে বিমানবন্দর , নিকটস্থ থানা পুলিশ, এমনকি পৌরসভা কর্তৃপক্ষও কোন তথ্য বা নির্দেশনা দেয়নি। রিপন খান অভিযোগ করে বলেন, সিলেটের সাবেক মেয়র কামরান কোরান্টেন নির্দেশনা না মেনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন কিন্তু থাকে কোন ধরনের শাস্তি প্রদান করেনি কোন আদালত। অথচ গোলাপগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত একতরফাভাবে আমাদের (রিপন খান) জরিমানা করেছেন। তিনি আরো জানান, বিমানবন্দর থেকে অথবা দেশে আসর পরপরই পুলিশে বা পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রবাসীদের যদি এব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হতো তাহলে এভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হতোনা।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : ভ্রাম্যমান আদালতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তীতে সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে। সরকারী বিধি নিষেধের কারনে ঐদিন তাৎক্ষনিকভাবে প্রবাসীদের নাম ও সঠিক ঠিকানা পাওয় যায়নি এমনকি মুঠোফোন নাম্বার পাওয়া যায়নি। যার ফলে উক্ত প্রবাসীদের সাথে যোগযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোন বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়নি। ভ্রাম্যমান আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিলো সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে।