জার্মানিতে দ্বিতীয় দফায় শিথিল হলো কিছু বিধিনিষেধ
করোনা সংকটের কারণে জার্মানিতে আরোপিত কিছু কড়াকড়ি শিথিল করা হলেও সামাজিক দূরত্বের বিধান সহ কিছু বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ই জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল জার্মানিতে করোনা মহামারির প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। বুধবার জার্মান সময় বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন "আমরা আজ বলতে পারি যে মহামারীটির প্রথম পর্যায়ে আমরা পেরিয়ে গেছি। তবে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে এবং ভাইরাসের প্রতি আমাদের কঠোড় নজর রাখাতে হবে।''
তিনি বিগত কিছু দিনে সংক্রামনের সংখ্যা কমে আসতে কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করেন। ম্যার্কেল বলেন, মানুষ এতদিন বিধিনিয়ম মেনে চলায় তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও মানুষের আচরণের উপর বর্তমান সংকটের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করবে। ম্যার্কেল উল্লেখ করেন, ফেডারেল কাঠামোর কারণে প্রত্যেক রাজ্য নিজস্ব পথ বেছে নিলেও সামাজিক দূরত্বের মতো মৌলিক প্রশ্নে দেশজুড়ে একই নিয়ম বজায় থাকবে। দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হবে। ইতিপূর্বে শুধু মাত্র ৮০০ বর্গমিটার পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
সামাজিক দূরত্বের বিধান বজায় রেখে রাজ্য সরকার নিজ নিজ রাজ্যের জন্য নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্ডারগার্টেন খোলার প্রশ্নেও কিছু মৌলিক বিধিনিয়ম স্থির করে দিয়েছেন ম্যার্কেল ও মুখ্যমন্ত্রীরা যার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি সিদ্ধান্ত নিয়ে কিন্ডারগার্টেন খুলবে। রেস্তোঁরা, বার, হোটেল, সিনেমা ও থিয়েটার খোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নিজস্ব সিধান্ত গ্রহন করবে। এছাড়াও জার্মান ফুটবল লিগ বুন্ডেসলিগ মে মাসে সীমিত আকারে চালু হবে।
তবে উত্সব, কনসার্ট, সেমিনার, মেলা সহ সকল বড় বড় ইভেন্টগুলি কমপক্ষে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে দেশটিতে। জার্মানিতে করোনা সংক্রামন এড়াতে এতদিন শুধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বের হবার অনুমতি ছিল। সার্বিকভাবে সংক্রমণের হার কিছুটা কমাতে এবার অন্য একটি পরিবারের সদস্যের সঙ্গেও মেলামেশার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭৩৭২ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩৭৪০০ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে জার্মানিতে মৃত্যু বরন করেছেন ৬৯৯৩ জন।