লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা নানা ভাবে বিকশিত হচ্ছে
সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী বলেছেন, লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে মেয়েরা নানাভাবে বিকশিত হচ্ছে। এ কলেজের উন্নয়নে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শফি আহমদ চৌধুরী গত ৯ ফেব্রæয়ারী রোববার দক্ষিণ সুরমা লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজে এক বর্ণাঢ্য চড়–ইভাতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। এ সময় তিনি কলেজের উন্নয়নে ৫০ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। শফি চৌধুরী ইতিমধ্যে তার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে দেয়া এক কোটি টাকা ব্যায়ে কলেজে একটি ৫ম তলা একাডেমী ভবন নির্মাণ কাজ চলছে।
এই ভবন নির্মান কাজ সম্পন্ন করতে তিনি আরো ৫০ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চুড়–ই ভাতির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমার পরিবারের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এই কলেজ। শিক্ষাকে আমি ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে দেখিনা। এ জন্যেই নিজের ঘাম আর শ্রমের টাকা বিলিয়ে দিয়ে এলাকার মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে মেয়েরা নানাভাবে বিকশিত হচ্ছে। সিলেটের ৫ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে মেয়েরা এখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে। তিনি এই কলেজের উন্নয়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান জানান।
কলেজ অধ্যক্ষ আমিরুল আলম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজের কো-ফাউন্ডার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বেগম লতিফা চৌধুরী, শফি আহমদ চৌধুরীর পুত্র বধু সুমনা চৌধুরী, মোগলাবাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন, সাহাদ উদ্দিন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ইমরান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শিপন আহমদ, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক শরীফ আহমদ, কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য সিরাজুল ইসলাম এরশাদ, আব্দুল হাই খসরু, পূবালী ব্যাংক লি: এর ডি.জি.এম মশিউর রহমান খান ও জিয়াউল হক চৌধুরী, জি.এম. এরশাদুল হক, এ.জি.এম. অঞ্জন দাস, পূবালী ব্যাংক লি: এর দাউদপুর শাখার ম্যানেজার শৈলেন সরকার, রাগীব রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, ব্যাংকার রাজু আহমদ, শাহজালাল সার কারখানার এস.টি মো: জামাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেগম লতিফা চৌধুরী বলেন, এই কলেজ হচ্ছে আমাদের একটি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে আমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য তিনি কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিজানুল কবির, ফখরুল ওয়াহেদ চৌধুরী, শারমিন সুলতানা, বিশ্বজিৎ দেব, সুহেনাজ তাজগেরা, মো: আবু হানিফ, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তপতী রায়, শেখ মো: আব্দুর রশিদ, রোকেয়া বেগম, শক্তি রাণী সরকার, নন্দ কিশোর রায়, সোহেল আহমদ, মো: রুম্মান উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, ফারজানা ইয়াসমিন, রিক্তা রাণী সরকার, আয়েশা আক্তার, লিটন চন্দ্র শর্ম্মা, ইউসুফ আলী, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, মিজানুল হক, জেনি বেগম, তাজ উদ্দিন, নাছরিন আরা নার্গিস, বর্ণালী দাস, উম্মে কুলসুম, বিকাশ চন্দ, আব্দুল্লাহ আল মাবরুর, আছমাউল হুসনা, জুবায়ের আহমদ, আরাফাত আলী, মাহবুবা হাসনাত উর্মি, লিমা বেগম, মাহবুবা খানম চৌধুরী, মো: সাইফুল ইসলাম, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিবারের মতো এবারও দিনভর চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রেফেল ড্র, কলেজের সকল শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজ। কলেজের শিক্ষার্থীরা রঙ-বেরঙের পোষাক পড়ে কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা চড়–ইভাতি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে ছিল এ দিনটি এক আনন্দময় দিন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে কলেজের ক্যাম্পাসের বাইরে বনভোজন না করে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রতি বছর এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় অভিভাবক ও এলাকাবাসী কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।