কুলাউড়ায় খাসিয়াদের হাতে বাঙালি যুবক খুন

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে আব্দুল করিম (৪৪) নামক এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় খাসিয়াদের বিরুদ্ধে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের নার্সারী পারপুঞ্জি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল করিম কর্মধা ইউনিয়নের নলডরি গ্রামের হাজী হবিব উল্লাহর ছেলে।
করিম মিয়ার স্বজনদের অভিযোগ, পুঞ্জিতে কাজ করতে গেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেলে তার উপর হামলা করে খাসিয়ারা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই আব্দুল গফ্ফার জানান, আব্দুল করিম বনবিভাগের সামাজিক বনায়নের একজন উপকারভোগী। পাহাড় জবরদখলকারী খাসিয়ারা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি বুধবার সামাজিক বনায়নে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে কিছু বনডুগি (পাহাড়ী শাক) নিয়ে নার্সারী পানপুঞ্জি এলাকায় এলে খাসিয়ারা তার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে খাসিয়াদের নেতৃত্বে ৪-৫ জন খাসিয়া যুবক দা দিয়ে পেছন থেকে আব্দুল করিমের উপর আক্রমন চালায়। এতে তিনি আহত হন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তার মাথায় ধারালো দায়ের একাধিক কুপ ছিলো।
পরে নার্সারি পুঞ্জির মন্ত্রী ডিসি খাসিয়া কয়েকজন পানব্যবসায়ীকে দিয়ে আব্দুল করিমকে পাহাড় থেকে বস্তি এলাকায় প্রেরণ করেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম আপছার জানান, বৃহস্পতিবার সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আমরা ঘটনাস্থল নার্সারী পুঞ্জিতে যাই। পুলিশ যাওয়ার খবর পেয়ে পুঞ্জির পুরুষ লোকরা পাহাড়ে আত্মগোপন করে। নিহত আব্দুল করিমের ভাই আব্দুল গফ্ফার বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।