না ফেরার দেশে ব্রিটেনের রানী কুইন এলিজাবেথ

বৃটেনের রানী কুইন এলিজাবেথ আজ মৃত্যুবরণ করেছেন । বাকিংহাম প্যালেস তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছেন,মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর । বর্তমানে রানীর মৃতদেহ স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে রয়েছে । দীর্ঘদিন থেকেই উনি অসুস্থ ছিলেন , চলাচলের সুবিধার্থে উনাকে স্কটল্যান্ড এর বালমোরাল প্যালেসে রাখা হয়েছিল। আগামীকাল রানীর মৃতদেহ লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে আনা হবে। সেখানেই সকলে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং শেষবারের মতো রাজকীয় সম্মাননা জানানো হবে। রানীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে যুক্তরাজ্য। কিছু সময় আগে ব্রিটেনের রানী কুইন এলিজাবেথ মৃত্যুবরণ করেছেন । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর । বর্তমানে রানীর মৃতদেহ স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে রয়েছে । দীর্ঘদিন থেকেই উনি অসুস্থ ছিলেন , চলাচলের সুবিধার্থে উনাকে স্কটল্যান্ড এর বালমোরাল প্যালেসে আনা হয়েছিল। আগামীকাল রানীর মৃতদেহ লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে আনা হবে। সেখানেই সকলে শেষবারের মত শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং শেষবারের মতো রাজকীয় সম্মাননা জানানো হবে। রানীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে যুক্তরাজ্য।
রানীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একই সাথে শোক প্রকাশ করেছেন বিরুধী দলীয় নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার। এছাড়াও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সর্বজৈষ্ঠ এ সদস্যর এ বিদায়ে শোক জানিয়েছেণ এনটিভি ইউরোপের সিইও সাবরিনা হোসাইন ও এনটিভি পরিচালক মোস্তফা সারওয়ার সহ পুরো এনটিভি ইউরোপ পরিবার।
এদিকে রানি গ্রীষ্মকালীন বিশ্রামে ছিলেন এবং গত জুলাই মাস থেকে স্কটল্যান্ডের বারমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। তার অসুস্থতার খবরে এদিন সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন প্রিন্স চার্লসসহ তার সন্তান-সন্ততিরা। প্রায় একবছর ধরেই রানির স্বাস্থ্য ভাল যাচ্ছিল না। তার চলাফেরায় সমস্যা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে।
অসুস্থতার কারণে গত শরৎ থেকে তিনি বহু অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে পারেননি। রানির পক্ষ থেকে তার ছেলে প্রিন্স চার্লস ওইসব দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।
এর আগে রানির অসুস্থতার খবরে লন্ডনে বাকিংহাম প্যালেসের সামনে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে উপস্থিত পর্যটকদের কারও কারও চোখে পানি দেখা যায়। সমারসেট থেকে লন্ডনে ঘুরতে যাওয়া সু ও অ্যান্ডি অলডারম্যান খবরটি শুনে মুষড়ে পড়েন। তাঁরা আশা করছেন, অচিরেই রানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভালো খবর পাবেন।
অস্ট্রেলিয়া থেকে যাওয়া পাম ফ্লেমিং ও কিম টিয়েরনি বাকিংহাম প্রাসাদ ঘুরে দেখার সময় রানির অসুস্থতার খবর পান। পাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘রানি হিসেবে আমরা শুধু তাঁকেই পেয়েছি। তিনি একজন অসাধারণ নারী! এটা খুব কষ্টের খবর।’
বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক, আলোকচিত্রী ও ক্যামেরা ক্রুরাও বাকিংহাম প্রাসাদের সামনে হাজির হয়েছেন। সিংহাসনে আরোহণের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে মাত্র কয়েক মাস আগেই এই প্রাসাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে জনতার অভিবাদনের জবাব দিয়েছিলেন রানি।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের জীবনী লেখক রবার্ট হার্ডম্যান বলেছিলেন, ‘রানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে এই খবর দেশের জন্য তাঁর গুরুত্ব এবং তাঁর প্রতি আমাদের ভালোবাসা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।’ কুইন অব আওয়ার টাইমস গ্রন্থের লেখক হার্ডম্যান আরও বলেন, ‘তিনি (রানি) আমাদের ইতিহাসে অন্য যেকোনো রাজা–রানির চেয়ে ভিন্ন। তিনি আমাদের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী, সবচেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালনকারী, সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকা রানি। হঠাৎ এমন এক সময়ে আমরা সবাই বুঝতে পারছি, তিনি কত মূল্যবান!’