যুক্তরাজ্য ও লন্ডন শহর পৃথিবীর অনেকের মানুষের কাছেই স্বপ্নের দেশ বা স্বপ্নের শহর বলে বিবেচিত। দেশটিতে এক বার আসতে পারলেই যেন ঘূরে যাবে ভাগ্যের চাকা। এমন স্বপ্নে বিভোর থাকেন অনেকই ।

তাই প্রতিবছর বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অসংখ্য মানুষ দেশটিতে আসার চেষ্টা করে।

এদিকে বৈধ উপায়ে যারা আসেন তারা কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও অবৈধ উপায়ে যারা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ী দিয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ী জমানোর চেষ্টা করেন তারা পড়েন নানা বিপত্তিতে। শুধু তাই নয়, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনাও ঘটে প্রতিনিয়ত। যেখানে মৃত্যুবরন শিশু কিশোর সহ প্রাপ্ত বয়স্করা।

এদিকে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে অনেক কঠিন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে বর্তমান টরি সরকার কে। দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর মত অৎনপ্রিয় বিল পাস করতে চাইছে সরকার। এদিকে দি টাইমস পত্রিকায় অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে সরকারের নতুন আরেকটি পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। 

যেখাণে বলা হয়েছে ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় যাওয়ার জন্য ৩,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত অর্থ দিবে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যে যাদের  আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখান হয়েছে তাদের যে কারও জন্য এ প্রস্তাবনা টি  উন্মুক্ত থাকবে।  বিশেষ করে যারা নিজ দেশে ফিরতে পারছেন না তাদের লক্ষ্য করেই এ পরিকল্পনাটি করা হয়েছে।

এদিকে এ বিষয়ে বিজনেস মিনিস্টার কেভিন হলিনরাক বলেছেন, যারা রুয়ান্ডায় স্থানান্তর হতে রাজি হবে তাদের এ অর্থ প্রদান করা হবে। এতে করে দেশের "জনগণের অর্থের সৎ ব্যবহার" হবে।

টাইমস রেডিওকে তিনি বলেন, "অবৈধ অভিবাসীদের এ দেশে  রাখতে বর্তমানে এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ খরচ হচেছ"। প্রস্তাবনারটির অর্থ হচেছ, যদি কোন অভিবাসী অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে তবে সে এদেশে থাকতে পারবে না। 

যুক্তরাজ্য সরকার ইতিমধ্যে একটি পৃথক প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে যার অধীনে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে আসা ব্যক্তিদের রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে। তবে রুয়ান্ডার নিরাপত্তা ইস্যু  নিয়ে  সেই পরিকল্পনাটি আদালত দ্বারা ব্লক করা হয়েছিল।

এদিকে সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর ১৯,২৫৩ অবৈধ অভিবাসীকে স্বেচ্ছায়  যুক্তরাজ্য থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।