মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের পক্ষে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দলের প্রচারনার অভিযোগ ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের
আর মাত্র সপ্তাহ দু’য়েক। আগামী মাসের গোড়াতেই নতুন প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে আমেরিকা। কিন্তু এর মধ্যেই বন্ধু দেশ ব্রিটেনের বর্তমান শাসক দল লেবার পার্টি আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে বলে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের দাবি, লেবার পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা ব্রিটেন থেকে আমেরিকায় গিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। যদিও অন্য দেশের নির্বাচনে নাক গলানোর অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প এবং তাঁর প্রচার দলের সদস্যেরা ওয়াশিংটনে আমেরিকার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেখানে সরকারি ভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘অবৈধ বিদেশি সহায়তার’ অভিযোগ জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের বক্তব্য, আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সে দেশের জাতীয় স্বার্থ-বিরোধী কাজ করছেন ব্রিটেনের শাসক দলের সমর্থকেরা। এ নিয়ে তদন্তের দাবিও করেছেন ট্রাম্প। বিতর্কের সূত্রপাত লিঙ্কডইন নামে সমাজমাধ্যমের একটি প্ল্যাটফর্মেও পোস্ট নিয়ে। লেবার পার্টির ‘হেড অব অপারেশনস’ সোফিয়া পটেল কিছু দিন আগে একটা পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি লেখেন, ভোটের আগে বর্তমান এবং প্রাক্তন মিলিয়ে কমপক্ষে ১০০ জন লেবার কর্মী-সমর্থক আমেরিকায় যাচ্ছেন। আরও অন্তত দশ জন লেবার সমর্থক বা কর্মী ব্রিটেন থেকে নর্থ ক্যারোলাইনায় যেতে পারেন। যাঁরা যেতে ইচ্ছুক তাঁরা যেন তাঁর সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করেন বলে পোস্টে লিখেছিলেন সোফিয়া। ওই পোস্টের উদাহরণ সামনে এনেই ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, হ্যারিসের হয়ে প্রচার চালাতেই লেবার পার্টির ওই সমর্থকেরা আমেরিকায় যাচ্ছেন। দলীয় সমর্থকদের আমেরিকায় যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার। কিন্তু সেই সঙ্গেই আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। স্টার্মারের বক্তব্য, আমেরিকার নির্বাচনী রীতি মেনেই প্রতিবার ভোটের সময়ে তাঁদের দলের কিছু স্বেচ্ছাসেবক আমেরিকায় যান। লিফলেট বিলি, দরজায় দরজায় গিয়ে ভোটারদের সচেতন করাই তাঁদের কাজ। এর বিনিময়ে কোনও দলের তরফ থেকে বিপুল অর্থ বা কোনও উপহার তাঁরা পান না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতেই এই কাজ করে থাকেন লেবার সমর্থকেরা।