চীনা টিকার অনুমোদন দিলো বাংলাদেশ, উৎপাদন করা হবে দেশেই।
বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন তারা চীনের টিকা সিনোফার্মের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন এবং এ টিকা দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
"তারা ইতোমধ্যেই ৫ লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে দিয়েছে। হয়তো ১/২ সপ্তাহের মধ্যে এটি আমরা পাবো। এরপর ক্রয় বিধি অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় অনুযায়ী কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে," বৃহস্পতিবার টিকা সম্পর্কিত এক ব্রিফিং তিনি একথা বলেন।
মিস্টার রহমান বলেন বাংলাদেশে তিনটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা আছে এবং এগুলো হলো ইনসেপ্টা, হেলথ কেয়ার ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
"শুরুতে ইনসেপ্টার সাথে যোগাযোগ হবে। চীনা ও রাশানরা এসে দেখবেন। তারা এসেস করবেন। এরপর তাদের মধ্যে সমঝোতা হবে টিকা উৎপাদনের জন্য। ইনসেপ্টার একাই প্রতি মাসে ৮ মিলিয়ন টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে"।
চীনা টিকা আসার পর এক হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে তার সেফটিসহ আনুষঙ্গিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দেশের তের কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। এজন্য অক্সফোর্ডে টিকা ছাড়াও স্পুটনিক ভি, চীনা টিকার পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকেও আসবে এবং ফাইজার থেকেও পাওয়া যাবে কিছু টিকা।
এর আগে সকালে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক চীনা টিকার অনুমোদনের তথ্য জানিয়ে বলেন বাংলাদেশের কোন কোম্পানি চাইলে রাশিয়া ও চীনের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হবে।