করোনার কারণে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা।

ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবেরতো স্পেরানজা গতকাল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে কোন দেশে গত ১৪ দিনের মধ্যে অবস্থান করেছেন এমন কাউকে ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছেন।
নতুন ভারতীয় স্ট্রেইনের প্রভাবে মহামারী করোনার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। নতুন এই অধ্যাদেশে বলা হয় গত ১৪ দিনের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন এমন সব ব্যাক্তিদের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আকাশ,সড়ক ও নৌপথে ভ্রমণকারীদের জন্যে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
গতকাল লাজিও অঞ্চলের গভর্নর নিকোলা জিংগারেত্তি ভারত থেকে সকল বিমান চলাচল বন্ধ করার দাবী জানান। তিনি একটি নোটে জানান ‘আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই ভারত থেকে আগত ফ্লাইটগুলির যাত্রীদের ফিউমিচিনো বিমান বন্দরে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে। ‘
এদিকে লাজিও অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিষয়ক কাউন্সিলর আলেসিও ডি'আমাটো জানান "এই পর্যায়ে ভারত থেকে বিমান চলাচল গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অস্কার দল তারা ইতোমধ্যে সতর্ক হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ থেকে বিমানগুলি নিয়ে যেমন হয়েছিল বিমানবন্দরে সোয়াব চালানোর জন্য প্রস্তুত, তবে কেবল সোয়াবই যথেষ্ট নয় এটির জন্য ব্যারাকের মতো অঞ্চলে নিয়ন্ত্রিত কোয়ারানটাইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর দায় নিতে পারে না সহস্র আগতদের। সহযোগিতার বিষয়ে: বরাবরের মতো আমরা জাতীয় নাগরিক সুরক্ষা এবং জননিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে আমাদের সমস্ত সহযোগিতা দেব। তবে এই মুহূর্তে ভারত থেকে আগমন বন্ধ রেখেই বিষয়গুলো সমাধান করতে হবে। উল্লেখ্য গত কয়েকদিনে ভারত থেকে আগত কমপক্ষে ৩০০ জনের করোনার সংক্রমণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।