মিশিগানের একটি স্কুলে গোলাগুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে। এই ঘটনায় চার শিক্ষার্থী নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছিল। বুধবার প্রসিকিউটররা অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সন্দেহভাজন ছাত্র ইথান ক্রাম্বলি (১৫) কে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে অভিযুক্ত করেছে। সূত্র: বিবিসি

সে নিজেকে দোষী নয় বলে দাবি করেছেন। পুলিশ এখনও হামলার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি। নিহতদের নাম টেট মাইরে (১৬), ম্যাডিসিন বাল্ডউইন (১৭), হানা সেন্ট জুলিয়ানা (১৪) এবং জাস্টিন শিলিং (১৭)।
বুধবার অভিযোগ ঘোষণা করে, ওকল্যান্ড কাউন্টির প্রসিকিউটর কারেন ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন যে, "সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঘটনার আগে হামলার পরিকল্পনা করেছিল তা দেখানোর জন্য তার অফিসে প্রচুর ডিজিটাল প্রমাণ রয়েছে"।

এরকম একটি উদাহরণ হল গুলি চালানোর আগের রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তির একটি ভিডিও, যেখানে সে ছাত্রদের হত্যার বিষয়ে আলোচনা করে। তিনি বলেন, "এটা কোনো আবেগপ্রবণ কাজ ছিল না"। তিনি আরো বলেন যে এটি "একদম পূর্বপরিকল্পিত" ছিল।

পরবর্তীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে, ওকল্যান্ড কাউন্টির শেরিফ মাইকেল বাউচার্ড বলেছেন যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে একটি কিশোর আটক কেন্দ্র থেকে স্থানীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হবে, যেখানে তাকে চুক্তি ছাড়াই রাখা হবে।

কিশোরটি তার পরিবারের নির্দেশে তদন্তকারীদের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাবা-মাকে গুলি চালানোর কয়েক ঘন্টা আগে স্কুলে ডাকা হয়েছিল শ্রেণীকক্ষে তার আচরণের জন্য।

তদন্তকারীরা খুঁজে পেয়েছেন যে সন্দেহভাজন শুক্রবার তার বাবার কেনা আগ্নেয়াস্ত্র স্কুলের বাথরুমে গিয়ে লোড করেছে এবং তারপর অস্ত্র থেকে ৩০ টিরও বেশি গুলি ছুড়ে হলওয়ে দিয়ে হেঁটে গিয়েছিল।

মিঃ বাউচার্ড বলেন, সন্দেহভাজন ছাত্রটি হামলার সময় স্কুলের প্রায় ১৭০০ শিক্ষার্থীর উপর  নির্বিচারে গুলি চালায়। টেট মাইরে (১৭) অপরাধীকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে, তিনি ফুটবল টিমে খেলছিলেন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে পুলিশ অফিসারের গাড়িতে মারা যান। একটি পিটিশনে ৭৫,০০০ টিরও বেশি লোক স্বাক্ষর করেছে যেখানে স্কুলের ফুটবল স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে টেটের নামে করার আহ্বান জানানো হয়।

আহতদের মধ্যে ম্যাডিসিন এবং হানাও মঙ্গলবার মারা গেছেন, যখন জাস্টিন বুধবার মারা গেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে, ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রী বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।