করোনা সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরেছে স্পেন, উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে পর্যটন স্পট গুলো
ইউরোপের রৌদ্রোজ্জ্বল দেশ হিসেবে খ্যাত স্পেন, সারা বছরজুড়ে এ কারণে প্রচুর পর্যটক আসেন নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ফুটবল ও উৎসবের দেশ স্পেনে।
দেশটিতে চলছে বসন্ত কাল ,যে সময়টার অপেক্ষা۔ করে থাকেন۔ সারা বিশ্বের পর্যটক পিপাসু সহ স্পেনিশরাও , কিন্তু কোভিড নাইন্টিন তছনছ করে দিয়েছিল পর্যটন শিল্পে উন্নত দেশটির অর্থনীতি। বাইশে জুন থেকে লকডাউন উঠে যাওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে তবে দেশটিতে আবারো অর্থনীনৈতিক মন্দা হাতছানি দিচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী রা। তারা মনে করছেন চাকুরী হারাতে পারেন অনেকে তবে মন্দা কাটিয়ে উটতে সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ১৪ মার্চ থেকে কয়েক দফায় ২১ জুন পর্যন্ত টানা ৯৮ দিন চলে লক ডাউন। চলেছে শোকের মাতম আতংক আর্তনাদ আর মৃত্যুর মিছিল।
সামাজিক দুরত্ব বজায় এবং (১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় না রাখতে পারলে) মাস্ক পরে জনসমাগম স্থানে চলাচলের নিয়ম রেখে ২২ জুন থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে স্পেনকে। এতে করে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক রা আসতে পারাবেন কোন প্রতিবন্দকতা ছাড়া এবং দেশের ভেতরে ও জনগণ অবাদে চলাফেরা সহ আত্নীয় স্বজন দের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে আর কোন বাধা থাকলো না, কিন্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রিতি কড়া নির্দেশনার পাশাপাশি ১০০ ইউরো জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
গত শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন স্প্যানিশদেরকে খুবই সতর্কতার সাথে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ ঠেকাতে হবে এবং সরকারের সাস্থ্য বিভাগ এ বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছে।
পর্তুগালের সাথে ৩০ জুন পর্যন্ত সিমান্ত বন্ধ থাকলেও এখন থেকে ইউরোপীয় দের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সকল সীমানা, বৃটিশ পর্যটক দের ও থাকতে হবেনা কোয়ারেন্টাইনে, ওঠানামা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক রোডের ফ্লাইট গুলোও।
উল্লেখ্য স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া তত্ব মতে বৈশ্বিক মহামারী করোনার পাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার সাস্থ্য সেবা কর্মী সহ ২,৪৬,৭৫২ জন লোক আক্রান্ত এবং ৩৭ জন নার্স ও ডাক্তার, ৩০ জন সরকারি বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মী সহ ২৮,৩২৫ জন প্রান হারিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় ১০৮ জন আক্রান্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ৩৫০ জন বাংলাদেশী আক্রান্ত হলে ৪ জনের মৃত্যু ঘঠে প্রান ঘাতী করোনায়,তবে বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে মহামারীর বিস্তারিত তত্ব প্রতিদিন না জানালেও বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানাগেছে এখন পর্যন্ত স্পেনের হস্পিটাল গুলোতে প্রায় ১৮ শতাংশ আক্রন্ত লোক চিকিৎসাদিন রয়েছেন।দেশ টিতে আবারো করোনায় আগাত হানার শংকায় রয়েছেন অনেকে তবে
কোভিড নাইন্টিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আগাত ঠেকাতে পারলেই স্পেন পুর্বের ন্যায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে, তারি সাথে অর্থনৈতিক মন্দা সহজে কেঠে উঠবে বলে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।