স্পেন দুতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তা
![](https://europentv.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/05/14/unnamed_1.jpg?itok=qWdYh3fP×tamp=1589466095)
করোনায় বিপর্যস্থ স্পেনে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশীর বসবাস,তার মধ্যে রেসিডেন্স পারমিট নেই অথবা মহামারিতে আয়ের উৎস হারিয়েছেন এমন প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের ও বেশি, এমন কঠিন পরিস্থিতি তে তারা অনেকেই পড়ছেন খাদ্য সংকটে, এ মহা দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ সামর্থবানরা এগিয়ে এসেছেন।
ইতিমধ্যেই প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার অংশ হিসেবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে দুই দফায় প্রাপ্ত ২৫ লক্ষ টাকা ( ২৭,০৪৭ ইউরো ) এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাঁদের ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে ১ হাজার ইউরোসহ মোট ২৮ হাজার ইউরোর আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে । চলমান এই নগদ অর্থসহায়তা কর্মসূচিতে দূতাবাস ৯৩৩ জন ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় অভিবাসীর নাম সংগ্রহ করে গত ২ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত দূতাবাসের পক্ষ থেকে মাদ্রিদে ৪০০ জন এবং কাতালুনিয়ায় অনারারি কনস্যুলেটের রামন পেদ্রোর মাধ্যমে ৪৫৩ জন অভিবাসীর মোধ্যে ৮০৮ জনকে অর্থসহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
![](https://europentv.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/05/14/unnamed_2.jpg?itok=Rulp1OK_×tamp=1589466123)
এ ছাড়া মালাগা, টেনেরিফ, মায়োর্কা, সেভিজা ও বিলভাও অঞ্চলে আরও ৮০ জন অভিবাসীকে এই অর্থসহায়তা প্রদান করা হবে এবং লকডাউনের কারনে যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী মহিলা ও বয়স্করা দূতাবাসে আসতে পারেননি, তাঁদের কাছে এই অর্থ পৌঁছে দেয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কোভিড নাইন্টিন মহামারিতে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেনে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া ত্বত্তমতে আক্রান্তের প্রায় ৬২.৪৬ শতাংশ লোক সুস্থ হয়েছেন, যার মোট সংখ্যা হচ্ছে ১,৪৩,৩৭৪ জন। দেশটিতে ২,২৯,৫৪০ জন আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ২৭,৩২১ জনের। মাদ্রিদে করোনায় ৬৫,৬৯৩ জন আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ৮,৭৭৯ জনের , কাতালুনিয়ায় ৫৫,৭৮২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৫,৮২৩ এবং কাস্থিয়া ই লিয়ন ১৮,১৭৩ জনের মধ্যে ১৯২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
![](https://europentv.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/05/14/unnamed_3.jpg?itok=Kr8YCPS_×tamp=1589466123)
স্পেনে ৫০,০৮৮ জন সাস্থ্যকর্মী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে অধিকাংশই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মহান এ পেশায় আবারও যোগ দিয়েছেন এবং ৮২ জন জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৩০৯ জন বাংলাদেশী আক্রান্তের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন প্রায় ২৮২ জন। দেশটিতে গত ১৩ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে এবং আগামী ২৪ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকলেও তা পরবর্তী আরো এক মাস বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা । এমতাবস্থায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই আর্থিক সংকটে রয়েছেন এবং সরকারের ঘোষণা অনুসারে এএরতের (ERTE) টাকা যথা সময়ে না পাওয়ায় নতুন করে সমস্যায় পড়বেন আরো প্রায় পনেরো হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী।