শ্রীমঙ্গলে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার
পিন্টু দেবনাথ : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শ্যামলী আবাসিক এলকার একটি বাসা থেকে একটি শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী সেব ফাউন্ডেশন।
সোমবার রাতে শহরতলির শ্যামলী আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে সাপটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, আজ রাত ৯টার দিকে শহরের শ্যামলী আবাসিক এলাকার মিল্লাদ কমিশনারের পাশের বাসা আকরাম হোসেন এর বাসায় হাঠাৎ সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গলকে খবর দিলে, সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে বন বিভাগ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সজল দেব আরও বলেন, শঙ্খিনী সাপের বৈজ্ঞানিক নাম বাংগারুস ফ্যাসিয়াটাস (Bungarus fasciatus)। এটি বিষধর সাপ। সাপটির দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৬ ফুট ১১ ইঞ্চি হতে পারে। গায়ে কালোর মধ্যে হলুদ ডোরাকাটার কারণে সহজেই সাপটি চেনা যায়। সাধারণত মানুষ দেখলে সাপটি পালানোর চেষ্টা করে। মাথা ঝোপ বা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। তখন সাপটির ভোঁতা লেজটিকে অনেকে মাথা ভেবে ভুল করেন। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৪ থেকে ১৪টি ডিম দেয় স্ত্রী সাপ। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ৬১ দিন সময় লাগে।
জানা যায় সাপটি নিশাচর। এরা ইঁদুরের গর্ত, ইটের স্তূপ এবং উইয়ের ঢিবিতে থাকতে পছন্দ করে। এ সাপ যে এলাকায় থাকে, সেখানে অন্য জাতের সাপ সাধারণত থাকে না। কারণ, অন্য প্রজাতির সাপ এগুলোর প্রিয় খাদ্য। শঙ্খিনী সাপ কেউটে, গোখরাসহ অন্যান্য বিষধর সাপকে খেয়ে ফেলে। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন সাপটিকে বাংলাদেশে বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে।