স্পেন প্রবাসীদেরকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশ থেকে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস
কোভিড নাইন্টিন মহামারীর কারনে স্পেন প্রবাসীদের মধ্যে যাঁরা বাংলাদেশে আটকা পড়েছেন, তাদের থেকে যারা স্পেনে জরুরী অবস্থায় ফিরে আসতে চান তাদেরকে চার্টার বিমানে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস স্পেন। দেশে অবস্থারত স্পেন প্রবাসীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, গত ১৭ মে দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্পেনে ফিরে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিকে চার্টার এর খরচ বহন করতে হবে । সংশ্লিষ্ট প্রবাসীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একজন অথবা সর্বোচ্চ দুইজন প্রতিনিধি কিংবা ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে।
সেই ফোকাল পয়েন্টের কন্টাক্ট – মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার, স্পেনিশ রেসিডেন্ট কার্ড নাম্বার দূতাবাসের bdembm01@gmail.com এই ইমেইল ঠিকানায় পাঠাতে হবে। দূতাবাস ফোকাল পয়েন্টের সাথে যোগাযোগ করবে। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে ফোকাল পয়েন্ট অথবা প্রতিনিধিকে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে ,সেক্ষেত্রে দূতাবাস কিংবা মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র বিভিন্ন অনুমোদনের দায়িত্ব নিবে। চার্টার এর মূল্য প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সাথে যেভাবে আলোচনা করে ঠিক করবেন সে প্রক্রিয়ায় পরিশোধ করবেন। তাই সকল ভ্রমণ প্রত্যাশিকে প্রতিনিধি ঠিক করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রতিনিধি কর্তৃক কেউ প্রতারিত হলে তাঁর দায়িত্ব দূতাবাস কিংবা মন্ত্রণালয় নিবে না। লকডাউন চলাকালীন বাংলাদেশ থেকে চার্টার বিমানকে মাদ্রিদে অবতরণ করতে দেওয়া হবে কিনা , সে বিষয়ে দূতাবাস কাজ করছে। যদি অনুমোদন না দেয়া হয়। তখন চার্টার বিমানে ভ্রমন করার কোন সুযোগ থাকবে না।
এটি হলো চার্টার এ ভ্রমণ করার জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া, পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো ফোকাল পয়েন্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা জানতে পারবেন।তবে যেহেতু এ আয়োজনটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া তাই অগ্রিম এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস। উল্লেখ্য চার্টার বিমানে ভ্রমনের জন্য যাত্রীকে দিগুণ ভাড়া গনতে হতে পারে, যেহেতু বিমানটি পেসেঞ্জার রেখে খালি ফিরবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে যাত্রী না হলে ভাড়া আরোও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।