অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে ইতালি বিএনপিতে তোলপাড়

ইতালি(রোম) প্রতিনিধি : ইতালির রাজধানী রোমে সংবাদ সম্মেলনে রোম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবিরের অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সাংবাদিক সম্মেলন করেন ইতালি বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দরা।বুধবার (৩১জুলাই) রাতে রোম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবিরের ফেসবুকে দেওয়া একটি অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য ঘিরে ইতালি বিএনপিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের ঝড়। দলীয় শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবিতে আজ রোমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক নেতৃবৃন্দ সরব অবস্থান নেন।সংবাদ সম্মেলনে ইতালি বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রহমান সালামের অনুমতিক্রমে দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।কামরুজ্জামাম রতন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গতো '২৯ জুলাই, হুমায়ুন কবির তার ব্যাক্তিগত পোস্টে দলীয় শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে যে অশালীন, অপমানজনক এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, তা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত ক্ষমা দাবী করছি।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বক্তব্য দেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রহমান সালাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান হীরা, রোম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মইনুল আলম খোকনসহ উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।ইতালিতে দলের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রক্ষায় যারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য দলীয় ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এই আচরণ কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়। ২৯ জুলাই হুমায়ুন কবির তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এক ভিডিও বার্তায় ইতালি বিএনপির কেন্দ্রীয় ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে কিছু অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও ব্যক্তিগত মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।ইতালির সাবেক বিএনপি নেতারা বলেন, আমরা হতবাক, একজন সাবেক সভাপতি হয়ে তিনি কীভাবে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারেন! এটি কোনো মতপ্রকাশ নয়, সরাসরি অপমান এবং দলীয় ঐক্যে আঘাত। ইতালির বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফেসবুক ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকেই বিষয়টিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। দলীয় ঐক্য রক্ষায় এখনই কঠোর সিদ্ধান্ত না নিলে ভবিষ্যতের আন্দোলন ও নেতৃত্ব চরম সংকটে পড়বে।দলীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা ও সম্মান রক্ষায় সময়মতো সিদ্ধান্তই পারে পরিস্থিতি শান্ত করতে—এটাই ছিল সংবাদ সম্মেলনের প্রধান বার্তা।