ডেনমার্কে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক অগ্নিঝরা ৭ ই মার্চ
বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্ক এর উদ্যোগে পালিত হলো ঐতিহাসিক অগ্নিঝরা ৭ ই মার্চ । দূতালয় প্রধান শাকিল শাহরিয়ার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও পরে দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।উন্মুক্ত আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্থানের পেছনে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনায় অংশ নেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত গত শনিবার কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন।
৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সূত্রে বাঁধা ।এই ভাষণই হাজার বছরের একটি পরাজিত জাতিকে মুক্তি সংগ্রামের চুড়ান্ত পর্ষায়ে,মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।৭ই মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল বাংলার স্বাধীনতার অগ্নিমম্ত্র। “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” । ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনটিকে প্রমাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে "মেমোরি অব দ্য ওর্য়াল্ডের" আন্তর্জাতিক তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো । এতে করে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ দেশের সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বে আজ পরিচিতি লাভ করেছে ।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জনাব এম এ গণি। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি মানব–ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক। এটি এমন একটি ভাষণ, যা মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক দৃশ্যপটকে বদলে দেয়, রচনা করে বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ, আর যা ছিল মূলত সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মুক্তির সনদ। সভায় ডেনমার্কের প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।