বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্কের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ দূতাবাস কোপেনহেগেন , ডেনমার্ক এ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হলো মহান বিজয় দিবস ২০১৯। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকীতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন খতীবে আহলে সুন্নাহ্ আল্লামা ওয়াজিউল্লাহ। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত জাতির শ্রেষ্ট সন্তান এবং সকল শহীদ দের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে দিয়া অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দুতলায় প্রধান জনাব শাকিল শাহরিয়ার।
বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুল হামিদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতি মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান জনাব শাকিল। মাননীয় রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং তাঁর সহধর্মিনী রুবি পারভিন এর নেতৃত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।এর পর একে একে জাতির পিতার প্রতি সম্মান এবং পুস্পস্তবক অর্পণ করেন ডেনমার্ক আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়নের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে বলেন, এক সময় বাংলাদেশ কে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের জায়গা করে নেয়।
মুক্তির বিজয় অর্জন করে । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কালজয়ী নেতৃত্বে রক্তের এক বহতা নদী পেরিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা পেয়েছিলাম বিজয় । হয়তোবা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ আমরা পেতাম না যদি ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পাকিস্তানি সামরিক জান্তার হাতে গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠ " এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম" ঘোষণা না দিতেন ।
বক্তারা আরো বলেন ,১৯৪৯ সালে আওয়ামীলীগের জন্ম হতো না যদি ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হতো। আলোচক বৃন্দ হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অর্জনের এই দিনে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ।আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এবং মধ্যম আয়ের দেশ এ পরিণত হয়েছে । সংক্ষিপ্ত আলোচনায় , বক্তারা বর্তমান সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ প্রতিটা উন্নয়নে এবং অগগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দূতাবাসের আয়োজনে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়।