ডেনমার্কে ডাউন এর সময়সীমা ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী আজ বেলা ৩ ঘটিকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বলেন, ডেনমার্কে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের তৃতীয় সপ্তাহে চলছে এবং সরকার আজ সোমবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্কের সকল স্থলসীমা , আকাশপথ এবং নৌযান এমনকি স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়, কফি শপ ,ডে কেয়ার , রেস্তোঁরা, বড় বড় কেন্দ্র, হেয়ারড্রেসার বন্ধের মেয়াদ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে ।
এই আদেশ ,দশ জনেরও বেশি লোকের সমাগম নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সোমবার স্টেট সিরাম ইনস্টিটিউট অনুমান করেছে যে , উপোরোক্ত ব্যবস্থাগুলি বাড়ানোর অর্থ হবে করোন ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করা । তিনি ডেনমার্ক এর সকল নাগরিক কে দেশের বাইরে ভ্রমণ না করারও আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন দারুন উদ্বেগ প্রকাশ করে আরো বলেন এই মহামারীর কারণে বিশ্ব অৰ্থনীতি অনেক ভঙ্গুর হয়ে যাবে, তবে ডেনমার্ক এর অর্থনীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি কি হবে এখনি তা বলা মুশকিল। ডেনিশ স্বাস্থ সংস্থা মনে করছে, করোনাভাইরাস এর কারণে আগামী দিনগুলিতে আরো অনেক বেশী মানুষ অসুস্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে । আজ সোমবার ডেনিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্যসংস্থার উধৃতি দিয়ে বলেন গতকাল রবিবার ডেনমার্ক এ মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ জন কিন্তু আজ সোমবার তা ২৪ জন এ দাঁড়িয়েছে যা আমাদের জন্যে সত্যি এক অশনি সংকেত! শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত , ডেনমার্ক এ এখনো ১৪৫০ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস এর সক্রামন পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৫৫ জন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আই সি ইউ ) এ এবং ২৫৪ জন হাসপাতাল এ ভর্তি অবস্থায়আছেন।
এদিকে বাংলাদেশী যারা ডেনমার্ক এ বসবাস করছেন তাঁদের মধ্যে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ দূতাবাস এর একটি হটলাইন + ৪৫ ৯১ ৬৮ ১৫ ২৭ নম্বরে (জনাব মেহেদি হাসান , কনস্যুলার অফিসার) জানানোর জন্যে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিরূপ পরিস্থিতিতে দূতাবাস প্রধান জনাব শাকিল শাহরিয়ার জানান ,প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে থাকার জন্যে বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনো পর্যন্ত কোন বাংলাদেশী করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায়নি। ২৩ মার্চ ২০২০ , কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক।