পরিবর্তনের সূচনা হলো: স্টারমার
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্য দিয়ে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতা কিয়ার স্টারমার।
সেন্ট্রাল লন্ডনে নিজের নির্বাচনি আসনে সমর্থকদের সামনে হাজির হয়ে তিনি বলেছেন, “আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনারা আমাদের দেশকে বদলে দিয়েছেন।”
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সঙ্গে নিজেদের দায়বদ্ধতার কথাও মনে করিয়ে দেন ৬১ বছর বয়সী স্টারমার। তিনি বলেন, জনগণের এই বিপুল ম্যান্ডেটের সঙ্গে বিরাট এক দায়িত্বও এসে পড়েছে।
রাজনীতিকে আমাদের আবার ফিরিয়ে নিতে হবে জনগণের সেবায়। আমাদের সরকার দেখাবে, আমরা সবার মঙ্গলের জন্যই কাজ করছি।”
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৩২৬টি। সেখানে ৬৩৫টি আসনের ঘোষিত ফলাফলে ৪১০টি জিতে নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে মধ্য বামপন্থি দল লেবার পার্টি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীলদের যে ভরাডুবি হতে চলেছে, তা অনুমিতই ছিল। এ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি খন পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র ১১৪টি। অর্থাৎ দুইশর বেশি আসন তারা হারিয়েছে।
এবারের নির্বাচনের যে লেবার জোয়ার দেখা যাবে, সেই পূর্বাভাস ভোটের আগেই মেনে নিয়েছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে যুক্তরাজ্যের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হওয়া সুনাক। নিজের দলের বড় হারের পর তিনি সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
নিজের আসনে রিচমন্ডে জয় পাওয়া টোরি নেতা বলেন, “এই সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে লেবার পার্টি। স্যার কিয়ার স্টারমারকে ফোন করে আমি অভিনন্দন জানিয়েছি।”
নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি দেশের স্থিতশীলতা ও ভবিষ্যতের জন্য ভূমিকা রেখে যাবে জানিয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিটিশ জনগণ আজ রাতে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের। এই পরাজয়ের দায় আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি।”
যুক্তরাজ্যের আরেক বড় দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও এবার ভালো ফল দেখিয়েছে। এড ডেভির নেতৃত্বাধীন এ দল এবার পেয়েছে ৭০ আসন, যা গতবারের চেয়ে ৬২টি বেশি। তবে জন সুইনির দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৩৮টি আসন হারিয়ে পেয়েছে মাত্র সাতটি।